টপ টিপস্ ১:
অন্যের উপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজে নিজেই ইংরেজিতে কথা বলার প্রাকটিস শুরু করুন। এক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে একা একা কথা বলতে পারেন। মনে মনে বিরবির করা যেতে পারে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারেন। এতে করে আপনার প্রাকটিসটা অন্তত বন্ধ হয়ে থাকবে না।
এমনটা অনেকের ক্ষেত্রেই হয় যে, ইংরেজিতে কথা বলার প্রবল ইচ্ছা রয়েছে। কিন্তু কোন সঙ্গী না পেয়ে আর প্রাকটিস করা হয় না। তবে অন্যের অপেক্ষায় থেকে সময় নষ্ট না করে প্রথম উদ্যোগটা নিজেরই নেয়া উচিত।
টপ টিপস্ ২:
নিজে নিজে ইংলিশ স্পিকিং প্রাকটিসের জন্য সব থেকে ভাল এবং ইফেক্টিভ হচ্ছে রেকর্ডার ডিভাইস ব্যবহার করা। নির্দিষ্ট কোন টপিকের উপর নিজেই কথা বলে তা রেকর্ড করে পরবর্তীতে নিজেই শোনা এবং কোন দিকে নিজের আরও উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে তা খুঁজে বের করা। এক্ষেত্রে রেকর্ডার ডিভাইস কিংবা মোবাইল ফোনেও কথা রেকর্ড করা যায়।
টপ টিপস্ ৩:
কাছের কোন বন্ধু কিংবা আপনার মতো শীঘ্রই আয়েল্টস টেস্ট দিবে অথবা এমন কেউ থাকলে তাকে খুঁজে বের করুন। যার বা যাদের ইংরেজিতে কথা বলার ইচ্ছা রয়েছে এমন কয়েকজন মিলে ইংলিশ স্পিকিংয়ের প্রাকটিস করতে পারেন।
টপ টিপস্ ৪:
নিজের কথা বলার ভঙ্গি এবং শব্দের উচ্চারণ কেমন হচ্ছে তা যাচাই করার জন্য আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলুন। এতে করে নিজেকে সেই ইন্টারভিউয়ার চিন্তা করুন এবং আপনার মানুষটিকে পরীক্ষার্থী। নিজেই প্রশ্ন করে নিজেই সুন্দরভাবে উত্তর করার চেষ্টা করুন। এতে করে নিজেকে উপস্থাপন করার যে বিষয়টি রয়েছে তা আরও সুন্দর হবে।
টপ টিপস্ ৫:
বেশি বেশি ইংলিশ স্পিকিং করতে হবে। কারন এই বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবেই প্রাকটিসের উপর নির্ভরশীল। তাই এর কোন বিকল্প নেই।
টপ টিপস্ ৬:
ছোটদের গ্রামারের বই পড়ুন। সেখানে গ্রামারের অনেক খুঁটিনাটি বিষয় শিখতে পারবেন যা এতো বছরে আপনি হয়তো ভুলেই গেছেন। এছাড়াও Tense সম্পর্কে ভাল ধারনা রাখতে হবে এবং তার যথার্থ প্রয়োগ করতে হবে।
টপ টিপস্ ৭:
নিজের ইংরেজি শব্দের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করুন। যেমন- একই শব্দের বার বার ব্যবহারের চেয়ে সমার্থক শব্দের (Synonymous Word) ব্যবহার করা ভাল। phrases and idioms এর ব্যবহার করা। এছাড়াও কথা বলার সময় সুযোগ থাকলে বিভিন্ন প্রবাদ (Proverb) এর ব্যবহার করতে পারেন।
টপ টিপস্ ৮:
কোন জটিল কিছু ভাবার দরকার নেই। ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার দিন সিম্পল ভাবে যান। সব কিছু সাধারণভাবে চিন্তা করুন। এবং ইন্টারভিউয়ারকে বন্ধু মনে করে কথা বলুন। আর ভাল একজন প্রেজেন্টারের গুণ তুলে ধরুন। গুণটি কি তা জানা আছে কি?
ভাল একজন প্রেজেন্টার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তিনি যখন স্টেজে ওঠেন তখন দর্শকদের সামনে তারও ভয় লাগে। কিন্তু তিনি এতোটা আত্মবিশ্বাসী ভাব তাদের সামনে উপস্থাপন করেন যা দেখলে কেউ বুঝতেই পারে না তার মনের ভেতর ভয় অনুভূত হচ্ছে কিনা।
ইন্টারভিউ রুমে ঘাবড়ে না গিয়ে বরং ভয়কে মনের ভেতর রেখে আত্মবিশ্বাসী মনোভাবকে বাইরে বের হতে সুযোগ করে দিন।
টপ টিপস্ ৯:
নিয়মিত বিবিসি এবং সিএনএন এর খবর দেখতে এবং শুনতে হবে। দেশীয় ইংরেজি পত্রিকাগুলো নিয়মিত পড়ে চর্চা করুন। আর ইংলিশ রিডিং পড়ার সময় তা অবশ্যই শব্দ করে পড়বেন যাতে তা আপনার কানে আসে এবং বুঝতে পারেন উচ্চারণটি সঠিক হচ্ছে কিনা। ইংরেজি শব্দ সঠিক ভাবে উচ্চারণ করার জন্য এগুলো সহায়ক হতে পারে।
টপ টিপস্ ১০:
সবশেষে সাবটাইটেল দিয়ে ইংরেজি মুভি দেখুন। কথা বলার ভঙ্গিটা আত্মস্থ করার চেষ্টা করুন। এছাড়াও ইউটিউব থেকে ভিডিও দেখা যেতে পারে।
সর্বোপরি প্রাকটিসের সময় সংকোচ এবং লজ্জা -এই দুটি জিনিস নিজের থেকে ১০০ হাত দূরে রাখুন।