IELTS রেজিস্ট্রশন গাইডলাইনঃ

ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশে IELTS পরীক্ষার পরিচালনার অন্যতম প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে এদের বেশ কিছু শাখা আছে। পরীক্ষা দিতে চাইলে প্রথমেই রেজিস্ট্রেশন করার প্রয়োজন হবে। রেজিস্ট্রেশন করা যায় online এ অথবা Saifurs, Mentors এর মত কোচিংগুলোতেও আজকাল রেজিস্ট্রেশন করার ব্যাপারে সাহায্য করে। তবে online এ নিজে নিজে করাই ভাল। এতে অভিজ্ঞতাও বাড়ে।
British Council ( http://takeielts.britishcouncil.org/book-your-test/how-book-ielts-test ) এর ওয়েবসাইট থেকে স্টেপ ফলো করে রেজিস্ট্রেশন শেষ করেন। কনর্ফাম করার পর যে পেজ আসবে ঐটা প্রিন্ট দিয়ে ফেলেন। ওদের স্টেপ অনুযায়ী টাকা এবং দরকারী কাগজপত্র জমা দিন। কিছুদিনে মধ্যেই British Council আপনাকে পরীক্ষার স্থান এবং সময়সূচী ইমেইল না এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দিবে। সাথে একটা ৬ ডিজিটের আইডি দিবে। এটা মুখস্ত করে ফেলাই উত্তম হবে।

স্পিকিং সেকশনের টপ টিপস্

টপ টিপস্ ১:
অন্যের উপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজে নিজেই ইংরেজিতে কথা বলার প্রাকটিস শুরু করুন। এক্ষেত্রে কোন নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে একা একা কথা বলতে পারেন। মনে মনে বিরবির করা যেতে পারে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারেন। এতে করে আপনার প্রাকটিসটা অন্তত বন্ধ হয়ে থাকবে না।
এমনটা অনেকের ক্ষেত্রেই হয় যে, ইংরেজিতে কথা বলার প্রবল ইচ্ছা রয়েছে। কিন্তু কোন সঙ্গী না পেয়ে আর প্রাকটিস করা হয় না। তবে অন্যের অপেক্ষায় থেকে সময় নষ্ট না করে প্রথম উদ্যোগটা নিজেরই নেয়া উচিত।
টপ টিপস্ ২:
নিজে নিজে ইংলিশ স্পিকিং প্রাকটিসের জন্য সব থেকে ভাল এবং ইফেক্টিভ হচ্ছে রেকর্ডার ডিভাইস ব্যবহার করা। নির্দিষ্ট কোন টপিকের উপর নিজেই কথা বলে তা রেকর্ড করে পরবর্তীতে নিজেই শোনা এবং কোন দিকে নিজের আরও উন্নতি করার সুযোগ রয়েছে তা খুঁজে বের করা। এক্ষেত্রে রেকর্ডার ডিভাইস কিংবা মোবাইল ফোনেও কথা রেকর্ড করা যায়।
টপ টিপস্ ৩:
কাছের কোন বন্ধু কিংবা আপনার মতো শীঘ্রই আয়েল্টস টেস্ট দিবে অথবা এমন কেউ থাকলে তাকে খুঁজে বের করুন। যার বা যাদের ইংরেজিতে কথা বলার ইচ্ছা রয়েছে এমন কয়েকজন মিলে ইংলিশ স্পিকিংয়ের প্রাকটিস করতে পারেন।
টপ টিপস্ ৪:
নিজের কথা বলার ভঙ্গি এবং শব্দের উচ্চারণ কেমন হচ্ছে তা যাচাই করার জন্য আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলুন। এতে করে নিজেকে সেই ইন্টারভিউয়ার চিন্তা করুন এবং আপনার মানুষটিকে পরীক্ষার্থী। নিজেই প্রশ্ন করে নিজেই সুন্দরভাবে উত্তর করার চেষ্টা করুন। এতে করে নিজেকে উপস্থাপন করার যে বিষয়টি রয়েছে তা আরও সুন্দর হবে।
টপ টিপস্ ৫:
বেশি বেশি ইংলিশ স্পিকিং করতে হবে। কারন এই বিষয়টি সম্পূর্ণ ভাবেই প্রাকটিসের উপর নির্ভরশীল। তাই এর কোন বিকল্প নেই।
টপ টিপস্ ৬:
ছোটদের গ্রামারের বই পড়ুন। সেখানে গ্রামারের অনেক খুঁটিনাটি বিষয় শিখতে পারবেন যা এতো বছরে আপনি হয়তো ভুলেই গেছেন। এছাড়াও Tense সম্পর্কে ভাল ধারনা রাখতে হবে এবং তার যথার্থ প্রয়োগ করতে হবে।
টপ টিপস্ ৭:
নিজের ইংরেজি শব্দের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করুন। যেমন- একই শব্দের বার বার ব্যবহারের চেয়ে সমার্থক শব্দের (Synonymous Word) ব্যবহার করা ভাল। phrases and idioms এর ব্যবহার করা। এছাড়াও কথা বলার সময় সুযোগ থাকলে বিভিন্ন প্রবাদ (Proverb) এর ব্যবহার করতে পারেন।
টপ টিপস্ ৮:
কোন জটিল কিছু ভাবার দরকার নেই। ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার দিন সিম্পল ভাবে যান। সব কিছু সাধারণভাবে চিন্তা করুন। এবং ইন্টারভিউয়ারকে বন্ধু মনে করে কথা বলুন। আর ভাল একজন প্রেজেন্টারের গুণ তুলে ধরুন। গুণটি কি তা জানা আছে কি?
ভাল একজন প্রেজেন্টার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তিনি যখন স্টেজে ওঠেন তখন দর্শকদের সামনে তারও ভয় লাগে। কিন্তু তিনি এতোটা আত্মবিশ্বাসী ভাব তাদের সামনে উপস্থাপন করেন যা দেখলে কেউ বুঝতেই পারে না তার মনের ভেতর ভয় অনুভূত হচ্ছে কিনা।
ইন্টারভিউ রুমে ঘাবড়ে না গিয়ে বরং ভয়কে মনের ভেতর রেখে আত্মবিশ্বাসী মনোভাবকে বাইরে বের হতে সুযোগ করে দিন।
টপ টিপস্ ৯:
নিয়মিত বিবিসি এবং সিএনএন এর খবর দেখতে এবং শুনতে হবে। দেশীয় ইংরেজি পত্রিকাগুলো নিয়মিত পড়ে চর্চা করুন। আর ইংলিশ রিডিং পড়ার সময় তা অবশ্যই শব্দ করে পড়বেন যাতে তা আপনার কানে আসে এবং বুঝতে পারেন উচ্চারণটি সঠিক হচ্ছে কিনা। ইংরেজি শব্দ সঠিক ভাবে উচ্চারণ করার জন্য এগুলো সহায়ক হতে পারে।
টপ টিপস্ ১০:
সবশেষে সাবটাইটেল দিয়ে ইংরেজি মুভি দেখুন। কথা বলার ভঙ্গিটা আত্মস্থ করার চেষ্টা করুন। এছাড়াও ইউটিউব থেকে ভিডিও দেখা যেতে পারে।
সর্বোপরি প্রাকটিসের সময় সংকোচ এবং লজ্জা -এই দুটি জিনিস নিজের থেকে ১০০ হাত দূরে রাখুন।

IELTS এর প্রাথমিক ধারণা

IELTS এর প্রাথমিক ধারণা

IELTS কি এবং কেন?
ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি পরীক্ষা নামই হচ্ছে IELTS। এর পূর্ণ রূপ International English Language Testing System. পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে লেখাপড়া বা কাজ করতে যেতে চান, তাদের ইংরেজি ভাষার উপর দক্ষতা প্রমাণের জন্য IELTS পরীক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। যে কোন বয়সের এবং যে কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন মানুষ এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। তবে শিক্ষাগত যোগ্যতার উপর এর প্রকারভেদ লক্ষনীয়। আরো জেনে নিন স্বয়ং British Council ( http://takeielts.britishcouncil.org/choose-ielts/what-ielts ) এর ওয়েবসাইট থেকে।

পরীক্ষার ধরণ এবং প্রকারভেদঃ
IELTS পরীক্ষা দেওয়া যায় Academic ও General Training মডিউলে। স্নাতক, স্নাতকোত্তর অথবা পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা Academic মডিউলে পরীক্ষা দিতে পারবেন। কোনো শিক্ষার্থী যদি কারিগরি বিষয় বা প্রশিক্ষণে ভর্তি হতে ইচ্ছা পোষণ করেন, তবে তাঁকে General Training মডিউলে পরীক্ষা দিতে হয়। ইমিগ্রেশনের জন্য যারা আগ্রহী তাদেরও একই মডিউলে পরীক্ষা দিতে হবে। দুই ধরনের মডিউলেই Listening, Reading, Writing & Speaking—এই মোট চারটি অংশ থাকে।

Listening
শুনে বোঝার ক্ষমতা যাচাই করা হয় এই অংশে। রেকর্ড করা নির্দিষ্ট বক্তব্য শুনে বা কথোপকথন শুনে এ অংশে প্রশ্নের উত্তর করতে হবে পরীক্ষার্থীদের। এই অংশে মোট চারটি বিভাগে ৪০টির মতো প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। পরীক্ষার সময় যেকোনো বিষয়ে বক্তৃতা, কথোপকথন বা অন্য কোনো বিষয়ে অডিও শোনানো হয়। সেখান থেকে শুনেই পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর নির্ধারিত উত্তরপত্রে লিখতে হবে। ৩০ মিনিটের মতো পরীক্ষা হয় এবং শেষে অতিরিক্ত ১০ মিনিট সময় দেওয়া হয় সব উত্তর প্রশ্নপত্র থেকে উত্তরপত্রে লেখার জন্য। একটি বিষয় কেবল একবারই বাজিয়ে শোনানো হয়। কোন অবস্থাতেই কোন অডিও দ্বিতীয়বার প্লে করা হয় না। প্লে করা অডিওর উপর মাল্টিপল চয়েজ, সংক্ষিপ্ত উত্তর, বাক্যপূরণ ইত্যাদি নানা ধরনের প্রশ্ন থাকতে পারে।

Reading
বুঝতেই পারছেন এই অংশে পড়ার উপর দক্ষতা যাচাই বাছাই করা হয়। এক ঘণ্টায় তিনটি বিভাগে ৪০টির মতো প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে পরীক্ষার্থীদের। এই অংশে বিভিন্ন জার্নাল, বই, সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন থেকে কিছু অংশ তুলে দেওয়া হয়ে থাকে। এখান থেকে পড়েই উত্তর করতে হয়। এই অংশেও বাক্যপূরণ, সংক্ষিপ্ত উত্তর, সঠিক উত্তর খুঁজে বের করার মত ছোট ছোট টাস্ক দেয়া হয়।

Writing
ইংরেজি ভাষায় লেখার দক্ষতা যাচাইয়ের এই অংশে পরীক্ষার্থীকে ১ ঘণ্টায় দুটি প্রশ্নের উত্তর লিখতে বলা হয়ে থাকে। ২য় প্রশ্নটিতে ১ম প্রশ্নের চেয়ে বেশি নম্বর নির্ধারণ করা থাকে। সময় এবং মার্কের উপর ভিত্তি করে আপনি আগে থেকেই আপনার উত্তর কতটুকু লিখবেন এবং কত সময় ধরে লিখবেন তা ঠিক করে রাখতে পারেন। প্রথম প্রশ্নটিতে মোটামুটি ২০ মিনিট সময় দিতে পারেন এবং অন্তত ১৫০ শব্দের উত্তর লিখতে পারেন। আর দ্বিতীয় প্রশ্নটির উত্তর দিতে আপনি ৪০ মিনিট সময় ব্যয় করতে পারেন এবং অন্তত ২৫০টি শব্দ লিখতে পারেন। ২৫০ শব্দের কমে উত্তর করলে খারাপ মার্কস পাবার সম্ভাবনা রয়ে যায়। প্রথম প্রশ্নে সাধারণত কোনো চার্ট, ডায়াগ্রাম ইত্যাদি থাকে। এর উপর ভিত্তি করে আপনাকে নিজের ভাষায় বিশ্লেষণধর্মী উত্তর লিখতে হবে। আর দ্বিতীয় প্রশ্নটিতে সাধারণত কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের পক্ষে বা বিপক্ষে মত বা যুক্তি উপস্থাপন করতে বলা হতে পারে।

Speaking
এখানে তিনটি অংশে পরীক্ষার্থীদের মোটামুটি ১১ থেকে ১৪ মিনিটের পরীক্ষা দিতে হয়। প্রথম অংশে পরীক্ষার্থীকে কিছু সাধারণ প্রশ্ন করা হয়। যেমন: পরিবার, পড়াশোনা, কাজ, বন্ধু ইত্যাদি। দ্বিতীয় অংশে একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে এবং দুই মিনিট কথা বলতে হয়। এর আগে প্রস্তুতির জন্য সময় দেওয়া হয় এক মিনিট। তৃতীয় অংশে রয়েছে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে পরীক্ষকের সঙ্গে চার-পাঁচ মিনিটের কথোপকথন। কথা বলার উপর দক্ষতা যাচাইয়ের এই অংশে আপনার দ্রুত কথা বলার ক্ষমতা আপনাকে অনেক এগিয়ে রাখবে এবং ভাল মার্কস পেতে সাহায্য করবে। তাই যত দ্রুত সম্ভব বকবক করার চেষ্টা করুন।

স্কোরিং
১ থেকে ৯-এর স্কেলে IELTS-এর স্কোরিং করা হয়ে থাকে। চারটি অংশে আলাদাভাবে ব্যান্ড স্কোর দেওয়া হয়। চারটি অংশের গড় করে সম্পূর্ণ একটি স্কোরও দেওয়া হয়। এ পরীক্ষায় পাস বা ফেল হওয়ার কোনো বিষয় নেই। আপনার প্রয়োজনীয় স্কোর করতে পারলেই পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্য সফল হবে। ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাইলে সাধারণত ৬.৫ থেকে ৭.৫ পেতে হয়। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যান্ড স্কোর পৃথকভাবে (Writing, Speaking, Listening, Reading) ভালো করতে হয়। সম্পূর্ণ স্কোর যত ভালোই হোক না কেন, একটি বিভাগে স্কোর কমে গেলে ভর্তির সুযোগ নাও পেতে পারেন শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষা দেওয়ার আগেই জেনে নিন আপনার ন্যূনতম কত স্কোর প্রয়োজন। আর এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য চেষ্টা করুন।

IELTS পরীক্ষায় গ্রামারের প্রয়োজনীয়তা

IELTS পরীক্ষায় গ্রামারের প্রয়োজনীয়তা

অনেকেরই প্রশ্ন থাকে, আয়েল্টস টেস্টে ইংরেজি গ্রামারের প্রয়োজনীয়তা আছে কি? সংক্ষেপে উত্তরটি হচ্ছে, হ্যা! অবশ্যই আয়েল্টস টেস্টে ইংরজি গ্রামারের প্রয়োজন আছে। একটু বিশদ ভাবে বললে, যেকোন ভাষা বুঝতে হলে এবং সে ভাষায় কথা বলা বা অন্যদের সাথে যোগাযোগ করতে হলে নূণ্যতম কিছু জ্ঞানের প্রয়োজন হয়। ভাষা সম্পর্কে এই জ্ঞান আসলে অর্জিত হয় গ্রামার (ব্যাকরণ) থেকে। আয়েল্টস যেহেতু ভাষাগত দক্ষতা যাচাইয়ের একটি পরীক্ষা, তাই এই টেস্টের জন্য অবশ্যই ইংরেজি গ্রামারের জ্ঞান আপনার থাকতে হবে। এর মানে এই না যে গ্রামারে দখল কম তাই আপনার পক্ষে ভাল একটি স্কোর তোলা সম্ভব নয়। সম্ভব তবে এক্ষেত্রে একটু কৌশলী এবং পরিশ্রমী হতে হবে।

আয়েল্টস টেস্টের সকল সেকশনে গ্রামারের সরাসরি প্রয়োগ না থাকলেও রিডিং এবং স্পিকিং সেকশনে প্রয়োগ রয়েছে। আর বিশেষ ভাবে পরীক্ষার্থীকে গ্রামারের প্রয়োগ করতে হয় রাইটিং সেকশনের পরীক্ষায়।রিডিং সেকশনে গ্রামারের বেসিক জ্ঞান না থাকলে জটিল ইংরেজি বাক্যে সহজেই অর্থ (Sentence এর sense) বুঝতে ভুল হয়ে যেতে পারে। এজন্য বিভিন্ন sentence structures সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা থাকা জরুরী।ইংরেজি গ্রামারে খুব বেশি পারদর্শিতা না হলেও আয়েল্টস টেস্টে ভাল একটি স্কোর তুলতে হলে গ্রামারের বেসিক ধারনা থাকতে হবে।
রিডিং এবং লিসেনিং সেকশন
আয়েল্টস টেস্টের রিডিং এবং লিসেনিং সেকশনে সাধারণত সংক্ষেপে উত্তর করতে হয়। যার মধ্যে অনেক প্রশ্নই আবার সঠিক উত্তর বাছাই এর মতো হয়। তবে এর মধ্যেও কিছু প্রশ্ন আছে যেগুলো ২-৩ শব্দের মধ্যে উত্তর করতে বলা হয়। আবার শূণ্যস্থান পূরণের মতো প্রশ্নও থাকে।এমন প্রশ্নে ইংরেজি একে বারে বেসিক গ্রামারের প্রয়োগ অনেক সময় প্রয়োজন হয়। যেখানে হয়তো কোন Word এর Adjective, Noun, Singular, Plural ফর্মে পরিবর্তন করতে হতে পারে। আর যেখানে পরিবর্তন প্রয়োজন সেখানে তা না করা হলে আপনার উত্তরটি ভুল ধরা হতে পারে।
রাইটিং সেকশন
আয়েল্টস টেস্টের যে সেকশনটিতে সব থেকে বেশি গ্রামারের গুরুত্ব রয়েছে সেটি হচ্ছে রাইটিং সেকশনে। কারন এই সেকশনটিতে পরীক্ষার্থীকে গ্রামারের রুলস জানলেই হবে না বরং তার প্রয়োগ ঘটাতে হবে নিজের লেখায়। আর কোন নির্দিষ্ট টপিকের উপর ইংরেজিতে গঠনমূলক কিছু লেখা সহজ নয়। এজন্য প্রয়োজন শব্দ জ্ঞান এবং গ্রামারের প্রয়োগ। এই দুটি জিনিস একটি লেখাকে পাঠকের কাছে আর্কষনীয় করে তুলতে পারে।
রাইটিং সেকশনে আপনি যতো সুন্দরভাবে গুছিয়ে Complex Sentence ব্যবহার করতে পারবেন স্কোর বাড়ার সম্ভাবনা ততো বেশি থাকে। আর Complex Sentence ব্যবহারে অবশ্যই গ্রামারের দখল প্রয়োজন।
আয়েল্টস রাইটিং সেকশনে গ্রামারের উপর প্রায় ২৫% মার্কস নির্ভর করে। লেখার মাঝে আপনার গ্রামাটিক্যাল ভুল থাকলে এজন্য রাইটিং সেকশনে নাম্বার কাটা হবে।
স্পিকিং সেকশন
যেকোন ভাষায় অন্যকে কথার মাধ্যমে বোঝানোর জন্য আপনাকে অবশ্যই সে ভাষার দখল থাকতে হবে। এ দখল আপনি অর্জন করতে পারবেন গ্রামারের মাধ্যমে। আপনি কথা বলার সময় গ্রামারের সঠিক ব্যবহার করছেন কিনা তা যাচাই করা হবে।আর রাইটিংয়ের মতো স্পিকিং সেকশনেও ব্যাকরণের উপর ২৫% মার্কস রয়েছে।
আয়েল্টস টেস্টে সাধারণত কোন কোন গ্রামারগুলো প্রয়োজন হয়?
আয়েল্টস টেস্টের জন্য সাধারণত বেসিক লেভেলের গ্রামারের প্রয়োজন হয়। আর এর জন্য পৃথক কোন বই না পড়ে, বরং নবম-দশন কিংবা এইচএসসি লেভেলের ইংরেজি গ্রামারগুলো ফলো করলেই হয়। তবে প্রশ্ন হচ্ছে গ্রামারের কোন কোন বিষয়গুলো প্রয়োজন হয়?
আয়েল্টস টেস্টে সকল ধরনের গ্রামারের প্রয়োজন আছে। এর মধ্য থেকেও যেসকল গ্রামারের বেসিক বিষয় না জানলেই নয় এমন কিছু প্রয়োজনীয় আইটেমগুলো হলো-
Singular/ Plural form
Right forms of words
Tense
Sentence Conversion
Voice
Appropriate Prepositions
Phrases and Idioms
Articles
Punctuation
Linking words

IELTS এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু ভিডিও